more" /> more" /> more" />
Progressive Columnist Forum of Bangladesh
  • MENU
    • ABOUT US
    • EVENTS
    • COLUMN
    • GALLERY
    • NEWS
    • CONTACT US
  • writetopcfbd@gmail.com
  • +8801532537264
  • FAQ’s
  • SUPPORT
  • ABOUT US
Progressive Columnist Forum of Bangladesh
  • Facebook
  • Youtube
  • twitter
  • HOME
  • ABOUT US
  • EVENTS
  • COLUMN
  • GALLERY
  • NEWS
  • CONTACT US

শোকাবহ আগস্ট : বঙ্গবন্ধু আমাদের পথপ্রদর্শক

Homepage Column শোকাবহ আগস্ট : বঙ্গবন্ধু আমাদের পথপ্রদর্শক
Column

শোকাবহ আগস্ট : বঙ্গবন্ধু আমাদের পথপ্রদর্শক

আগস্ট ১, ২০১৯
By pcfbd
0 Comment
804 Views

আজ ১ আগস্ট। শোকের মাস শুরু হলো। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষের পথে এই বছরটি তাৎপর্যবহ এবং বর্তমান সময়টিও নানারকম চ্যালেঞ্জে মুখরিত। তার ভেতর জঙ্গিবাদ নির্মূল এবং তরুণ প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জাগ্রত করা অন্যতম দায়িত্ব হিসেবে গণ্য হচ্ছে সচেতন মানুষের কাছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের (১৯২০-১৯৭৫) আদর্শের প্রচারও বেড়েছে। কারণ তিনি বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন এবং একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্রের জন্ম দিয়েছেন। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু; পাকিস্তানি শাসকদের জেল-জুলুম, নিগ্রহ-নিপীড়ন যাকে সদা তাড়া করে ফিরেছে, রাজনৈতিক কর্মকা-ে উৎসর্গীকৃত-প্রাণ, সদাব্যস্ত সেই মহান ব্যক্তি স্বাধীনতার ৪৮ বছর পরও জীবন্ত। আর মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বর্তমান তরুণ প্রজন্মের একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে জেগে ওঠা এবং জঙ্গিবাদ নির্মূলের প্রচেষ্টাকে সেই জীবন্ত মহাপুরুষের আদর্শের ধারাবাহিকতা হিসেবে গণ্য করা যায়।

বঙ্গবন্ধু সর্বতোভাবে মানুষের কল্যাণে নিবেদিত ছিলেন। সাধারণ মানুষের দুঃখ-দুর্দশার অবসান ঘটাতে নিজের জীবন বিপন্ন করেছিলেন। ছাত্রজীবনের শুরু থেকে বাস্তব সমাজে কাজের অভিজ্ঞতা তিনি অর্জন করেন। রাজনীতিতে জড়িত হয়েছিলেন দেশের মানুষের দুঃখ ঘোচানোর জন্য। কর্মী থেকে হয়েছেন জাতির পিতা। গণমানুষের প্রিয় নেতা ছিলেন তিনি। কর্মনিষ্ঠ, ধৈর্য, সংগ্রামী চেতনা, আপসহীনতা আর অসীম সাহসিকতার জন্য যুগস্রষ্টা নেতা হয়েছিলেন তিনি। পূর্ববাংলার ইতিহাস গড়েছেন তিনি। কারাগারে বছরের পর বছর বন্দি মুজিবের বাঙালিদের স্বার্থরক্ষার প্রচেষ্টা ছিল অসামান্য। পারিবারিক সাংসারিক জীবনে নির্বিকার সময় কাটিয়েছেন খুব অল্পকাল। বলা যায় ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫-এর ১৪ আগস্ট পর্যন্ত। স্বৈরশাসকদের তাঁবেদারি করেননি, নিটোল সুখের জীবনও তার ছিল না। একইভাবে ভাষা আন্দোলনের সময় থেকেই বাঙালি জাতির স্বাধিকার অর্জন ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থার জন্য সংগ্রামে শামিল হয়েছিলেন শিল্পী-সাহিত্যিক, কবি-নাট্যকার ও সমাজের অন্যান্য সংবেদনশীল জনগোষ্ঠী। একুশকেন্দ্রিক কবিতা, গল্প, গান, নাটক যেমন এর দৃষ্টান্ত, তেমনি অন্য সব গণআন্দোলনের অভিঘাতে আলোড়িত শিল্পীর রচনা ছিল উল্লেখযোগ্য। ফলে বঙ্গবন্ধু শিল্পী-সাহিত্যিক ছাড়াও পর্যটক, সাংবাদিক সবাইকে আকর্ষণ করবেন এটাই স্বাভাবিক।

বাংলাদেশের অভ্যুদয় এবং রাজনৈতিক ইতিহাসে ‘বঙ্গবন্ধু’ একটি প্রভাব বিস্তারি শব্দ। স্বাধীনতার আগে ভাষা আন্দোলন এবং পরবর্তী সময় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পর্যন্ত দেশের এমন কোনো বিষয় নেই যার সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা ছিল না। বঙ্গবন্ধু রাজনীতি-সমাজ-সংস্কৃতি সর্বক্ষেত্রে বিরাজমান ছিলেন। তিনি মানুষের চৈতন্যে প্রভাব বিস্তার করেছেন এবং মানুষ তার সম্পর্কে কিছু না কিছু বলে আত্মতৃপ্তি অর্জন করেছে। ভারতীয় সাহিত্যে মহাত্মা গান্ধী যেমন মানুষের কাছে লেখার উৎস ও প্রেরণায় পরিণত হয়েছিলেন, তেমনি বঙ্গবন্ধু অনেক লেখককে কেবল নয়, দেশের শিল্প-সাহিত্যের কেন্দ্রীয় বিষয়বস্তুতে উন্মোচিত হয়েছেন। তাকে কেন্দ্র করে কবির চেতনা-মননে অব্যক্ত বেদনার নির্ঝর নিঃসরণ হয়েছে। আবার বাংলা শিল্প-সাহিত্যে তার রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের প্রকাশ অনিবার্য হয়ে উঠেছে। আমাদের দুঃখ বাংলাদেশের সাহিত্যে ‘বঙ্গবন্ধু-যুগ’ নাম দিয়ে একটি সময়-পর্ব এখন পর্যন্ত গড়ে ওঠেনি। অথচ ভারতীয় সাহিত্যে ‘গান্ধী-যুগ’ বলে একটি কালপর্ব নির্দিষ্ট হয়েছে। বিশেষত ১৯২০ থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত ভারতীয় সাহিত্যের দুযুগের বেশি সময় ‘গান্ধী-যুগ’ হিসেবে চিহ্নিত। কেন এই চিহ্নিতকরণ? কারণ এই মহামানবের জীবন ও কর্মের ব্যাপক প্রভাব। ভারতের এমন কোনো ভাষা-সাহিত্য-শিল্পকর্ম নেই যেখানে গান্ধীজি নেই। সেই তুলনায় বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের শিল্প-সাহিত্যে অপ্রতুল হলেও এই স্বাধীনতার মহানায়কের জীবন ও কর্ম আমাদের কবি-সাহিত্যিকদের চেতনায় নাড়া দিয়েছে। বিশেষত ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাকা-ের পটভূমি বিপুলসংখ্যক কবি-সাহিত্যিককে আন্দোলিত করেছে। মহানায়কের কথা, কাজ, শখ, বাগ্মিতা, বক্তব্য, তার শারীরিক অঙ্গভঙ্গি সবকিছুরই দ্বারা আলোড়িত হয়েছেন সৃজনশীল ব্যক্তিরা। বাগ্মিতায় জনগণকে মুগ্ধ করার অসাধারণ ক্ষমতা ছিল বঙ্গবন্ধুর। সেজন্য সামাজিক মানুষের হৃদয়ে প্রবেশে তার কষ্ট করতে হয়নি। জনগণের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে সহজ-সরল মাধ্যম ব্যবহার করেছিলেন বঙ্গবন্ধু; তাতে মানুষের কাছে সহজে পৌঁছাতে পেরেছিলেন। গান্ধীর রাজনৈতিক ক্ষেত্রে ধীরে ধীরে প্রভাব জনগণের মধ্যে বিকশিত হয়েছিল, চেতনাকে করেছিল পরিশুদ্ধ, ধারণা দিয়েছিল পাল্টে। তিনি হয়ে উঠেছিলেন সাহিত্য-চলচ্চিত্র-কবিতার মুখ্য উপাদান। ১৯৮২ সালে নির্মিত জরপযধৎফ অঃঃবহনড়ৎড়ঁময-এর ‘গান্ধী’ চলচ্চিত্রটি পৃথিবীব্যাপী মানুষকে আন্দোলিত করেছিল। ইংরেজিতে লেখা মুলক রাজ আনন্দ্, রাজা রাও, আর কে নারায়ণের উপন্যাস পড়ে এ ছবির নির্মাতা গল্পের উপকরণ সাজিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এ ধরনের ছবি বাংলাদেশে এখনো তৈরি হয়নি। তবে গান্ধী যেমন ভারতের ভাষা-সাহিত্যকে নতুন উদ্দীপনায় মুখরিত করেছিলেন, তেমনি বাংলা সাহিত্যকে বঙ্গবন্ধু তার চিন্তা ও জীবনযাপন দিয়ে সচকিত করে তুলেছিলেন। তাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ঘটনা গল্পের প্রয়োজনে পুনর্বিন্যস্ত হয়েছে। অধিকাংশ গল্প-উপন্যাস ঘটনাকেন্দ্রিক হলেও বঙ্গবন্ধুর প্রকৃত পরিস্থিতি, তার রাজনৈতিক আদর্শ, মানুষের জন্য ত্যাগের মানসিকতা প্রকাশ পেয়েছে। গ্রামবাংলার সহজ-সরল মানুষের কাছে পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টে তার মৃত্যু ছিল হাহাকারের; সেই অবস্থা তুলে ধরেছেন সাহিত্যিকরা। যদিও কোনো গল্প-উপন্যাসে ‘মুজিববাদে’র অনুপুঙ্খ রূপায়ণ নেই, তবু একটি ‘আদর্শ বাঙালি রাজনৈতিক’ জীবনকে কেন্দ্র করে প্রভূত আখ্যান গড়ে উঠেছে। নাগরিক মধ্যবিত্ত থেকে শুরু করে লোকায়ত মানসে মুজিব চিরন্তন হয়ে ওঠার কাহিনিও তৈরি হয়েছে। এই মহানায়ক জীবনকে গড়ে নিয়েছিলেন বাঙালি ঐতিহ্যের পরিপূরক করে। আর শ্রমজীবী মানুষের প্রাণের নেতা হওয়ার জন্য তাকে হাসিমুখে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে হয়েছিল। সাধারণ জনতার কাছে তার পৌঁছে যাওয়া এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তিনি ছিলেন অসাম্প্রদায়িক। তার চেতনা ছড়িয়ে পড়েছিল যাত্রায়, পালায়, কীর্তনে। গান্ধীজি ভারতবর্ষকে ‘সীতা মা’তে পরিণত করেছিলেন আর ব্রিটিশ শাসককে করেছিলেন রাবণের প্রতীক। রামায়ণের ধারণা ঢুকিয়ে স্বাধীনতার চেতনাকে করেছিলেন প্রসারিত কেবল ধর্মভাবকে কাজে লাগিয়ে। পক্ষান্তরে বঙ্গবন্ধু সাধারণ জনতার কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন মানুষের অধিকারের কথা বলে। এজন্যই জীবদ্দশায় ও মৃত্যুর পরে তার জীবন, আদর্শ, মতবাদকে কেন্দ্র করে অজস্র কবিতা লেখা হয়েছে। চিত্রকলা ছড়িয়ে পড়েছে তার অভিব্যক্তিকে কেন্দ্র করে।

পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পর কবি-সাহিত্যিক-শিল্পীরা সামনে কোনো বিকল্প দেখতে পাননি। এ কারণে তারা ১৯৭৭ সালের পর সরাসরি বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যাকা-ের প্রতিবাদ জানিয়েছেন সৃজনশীল কাজের মধ্য দিয়ে। তাদের মধ্যে অনেকেই স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর ডাকে হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে অস্ত্রও ধরেছেন কোনো কোনো লেখক। আর সে সময় থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ লালন করেছেন সংগোপনে। তারই পরিণতিতে বঙ্গবন্ধুকে কেন্দ্র করেই সাহিত্যে নতুন চিন্তার অঙ্কুরোদ্গম হয়েছে। ধনী থেকে গরিব, জ্ঞানী থেকে নিরক্ষর তাকে কেন্দ্র করে রচিত ও পরিবেশিত গানের মুগ্ধ শ্রোতা এখনো। যে জনতা নয় মাসের যুদ্ধে জীবন বাজি রেখে দেশকে শত্রুমুক্ত করেছে ১৫ আগস্টের পরে সেই দেশবাসীর প্রতি তার অকৃত্রিম দরদ টের পেয়েছিলেন সবাই। অসহায়, দুঃখী, দারিদ্র্যের কশাঘাতে জর্জরিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে তাকে সাধারণ মানুষের মতোই জীবনযাপন করতে হয়েছিল।

মূলত বঙ্গবন্ধুর গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম, তার অতিসাধারণ জীবনযাপন তাকে লেখকদের কাছে ভক্তি ও শ্রদ্ধার পাত্রে পরিণত করে। তিনি যদিও আওয়ামী লীগের নেতা ছিলেন কিন্তু বৃহত্তর অর্থে তার গ্রহণযোগ্যতা ছিল সর্বস্তরের মানুষের মাঝে। তার সম্পর্কে কিংবদন্তির প্রয়োজন ছিল না, যদিও তাকে কেন্দ্র করে স্মৃতিকথায় উঠে এসেছে নানান রহস্যময় ঘটনার প্রসঙ্গ। রাজা রাও, মুলক রাজ আনন্দ এবং আর কে নারায়ণের গল্প-উপন্যাসে গান্ধীকে যেমন কাহিনি বর্ণনায় নানা ঘটনা ও চরিত্রের বিচিত্র প্রকাশে তুলে ধরা হয়েছে। তেমনি বাংলা গল্প-উপন্যাস-কবিতায় উপস্থাপিত হয়েছে বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক চেতনা, শতাব্দীলালিত মূঢ়তা থেকে মুক্তির মন্ত্র। তার আন্দোলন ছিল হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে, দেশের গুপ্ত কমিউনিস্ট সর্বহারাদের বিরুদ্ধে নয়। বরং সর্বহারারা মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিসেনাদের হত্যা করেছিল তার চিত্র রয়েছে অনেক গল্পে। সাধারণ মানুষকে অত্যাচারী শাসকের হাত থেকে রক্ষার জন্য নিজের জীবন বিপন্ন করা ও ভালোবাসায় সবাইকে কাছে টানা ছিল বঙ্গবন্ধুর অন্যতম বিশিষ্টতা। অপরাধ ও অপরাধীকে প্রশ্রয় না দেওয়া, সৎ ও নীতিপরায়ণ থাকা এবং ভ-ামি না করা, মিথ্যা প্রতিশ্রুতি না দেওয়া, জনগণের সঙ্গে প্রতারণা না করা তার সমগ্র জীবনের মুখ্য আদর্শ। বর্তমান বাংলা শিল্প-সাহিত্যে বঙ্গবন্ধুর সেই চেতনা ছড়িয়ে গেছে সর্বত্রই। মূলত তার চেতনার প্রভাব শতাব্দী থেকে শতাব্দী প্রসারিত হয়েছে এবং আগামীতে তা বহাল থাকবে।

বিংশ শতাব্দীর বাঙালির নবজাগরণের প্রতিভূ বঙ্গবন্ধু। বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের প্রধান পুরুষ তিনি। বাঙালির আত্মপরিচয়ের সংকট মোচনে তার অবদান বিশ্বস্বীকৃত। আগে একাধিকবার আমরা উল্লেখ করেছি যে, বারবার কারাগারে আটক ছিলেন তিনি; রাজনীতিতে তাই মানবমুক্তিই তার আরাধ্য ছিল। স্বাধীনতাকামী মানুষকে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন তিনি। নিঃস্বার্থ আত্মত্যাগ আর অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে শিখিয়েছিলেন। বাঙালির চেতনায়-মননে-জীবনে বঙ্গবন্ধু স্পন্দিত নাম। এই মহাপুরুষ ১৫ আগস্ট হত্যাকা-ের শিকার হলে মানুষ থমকে যায়, স্তব্ধ হয়ে পড়ে। তার পর নিজের গোপন ব্যথা প্রকাশ করা শুরু করে। হত্যাকা-ের বিচার প্রক্রিয়া ব্যাহত করে ঘাতকচক্র বাংলাদেশকে রসাতলে নিয়ে যেতে চেয়েছিল, পারেনি। কারণ এ দেশের মানুষের অন্তরে তখনো তিনি জাগ্রত, এখনো। তার কণ্ঠস্বর শাশ্বত ন্যায়ের গতিপথে বিকশিত। বঙ্গবন্ধু বাঙালির আপন ঘরের মানুষ, ভালোবাসা, শ্রদ্ধায় তিনি পুণ্যাত্মা।

বস্তুত জাতির পিতার দীর্ঘ সংগ্রামের কাহিনিতে দেশপ্রেম ছিল তর্কাতীত। ঐকান্তিকতায় পূর্ণ ছিল মানুষের প্রতি ভালোবাসা, পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী নানা ষড়যন্ত্র করে তাকে শায়েস্তা করতে চেয়েছে, ব্যর্থ হয়েছে। জনগণ তাকে জেল থেকে বের করে এনেছে। এমনকি ১৯৭০ সালে ইয়াহিয়া নির্বাচন দিতে বাধ্য হয়। জয়ী আওয়ামী লীগকে ষড়যন্ত্র করে সরাতে না পেরে সশস্ত্র বাহিনীকে লেলিয়ে দিয়েছে তারা। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধে জয়ী হয়ে বাঙালি আবার তাকে পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত করে আনে। তিনি ১৯৭২ থেকে দেশের উন্নয়নে সাধ্যানুযায়ী চেষ্টা করেছেন। তার শাসনকালে সংবিধান প্রণীত হয়। ’৭৫-এর দুঃসময় পরবর্তী তবু মানুষের ভালোবাসা প্রদর্শন থেমে থাকেনি। মানুষ উজ্জীবিত হয়েছে তার নামে। সেই পাশবিক নৃশংসতায় প্রাণপুরুষ চির আরাধ্য কর্ণধারকে হারিয়েছি আমরা। শোষিত জনতার নেতা বঙ্গবন্ধু। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জানা ও চেনার মধ্য দিয়ে বাংলার ইতিহাস-ঐতিহ্যকে ধারণ করা। অন্যদিকে প্রতিটি মানুষের চেতনায় স্বাধীনতার মর্মবাণী পৌঁছে দেওয়া। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি অনুষদের পাঠ্যসূচিতে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে একটি কোর্স চালু করা দরকার। উপরন্তু শিক্ষার প্রতিটি স্তরে বঙ্গবন্ধুকে পাঠ্য করা হোক। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রতিটি অনুষদে ‘বঙ্গবন্ধু কোর্স’ চালু করলে বাংলাদেশকে বুঝতে, জানতে ও উপলব্ধি করতে তা সহায়ক হবে।

লেখকঃ ড. মিল্টন বিশ্বাস, অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ এবং পরিচালক, জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা দপ্তর, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

লেখার মূল লিঙ্কঃ দৈনিক আমাদের সময়

Tags: মিল্টন বিশ্বাস

Previous Story
ঢাবি উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনে আলোচনায় চার নাম
Next Story
শিক্ষার প্রতিটি স্তরে বঙ্গবন্ধুকে পাঠ্য করা হোক

Related Articles

শিক্ষার প্রতিটি স্তরে বঙ্গবন্ধুকে পাঠ্য করা হোক

শোকের মাস শুরু হলো। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের...

দুর্নীতিই কী এসকে সিনহার কাল হলো!

অবশেষে কানাডায় শরণার্থী হিসেবে আশ্রয়প্রার্থী হলেন সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র...

Recent Post

  • ।।বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরাম আয়োজিত ‘‘শেখ হাসিনার বৈশ্বিক ভাবমূর্তি : প্রসঙ্গ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন’’ শীর্ষক সেমিনার এবং ‘‘কলাম লেখার রীতি-নীতি, কৌশল শিখন ও অনুশীলন’’ শীর্ষক ওয়ার্কশপ ।। শনিবার, ২৪, সেপ্টে
  • শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে সেমিনার রবিবার, ১৫, মে
  • ‘শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন : ইতিহাসের পুনর্নির্মাণ’ শীর্ষক সেমিনার রবিবার, ১৫, মে
  • About Al Jazeera বুধবার, ১০, ফেব্রু
  • অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান : জন্মদিনের শুভেচ্ছা মঙ্গলবার, ৫, জানু

About Us

আত্মপ্রকাশ ২০১৮ সালে। নতুন প্রজন্মের প্রত্যাশা ও একটি আগামীর বাংলাদেশ তৈরির লক্ষ্যে নানামুখী উদ্যোগের মাধ্যমে সংগঠনটির যাত্রা শুরু। এরই মধ্যে সেমিনার, গোল টেবিল বৈঠক, সংলাপ, টকশো, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আলোচনা অনুষ্ঠান, পত্রপত্রিকায় কলাম-সম্পাদকীয় লেখা ইত্যাদি নানা ক্ষেত্রে প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরাম অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে।

Address

সেনপাড়া পর্বতা, মিরপুর-১০, ঢাকা
+8801532537264 +8801532537264
writetopcfbd@gmail.com writetopcfbd@gmail.com

News

  • ।।বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরাম আয়োজিত ‘‘শেখ হাসিনার বৈশ্বিক ভাবমূর্তি : প্রসঙ্গ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন’’ শীর্ষক সেমিনার এবং ‘‘কলাম লেখার রীতি-নীতি, কৌশল শিখন ও অনুশীলন’’ শীর্ষক ওয়ার্কশপ ।।
  • শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে সেমিনার
  • ‘শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন : ইতিহাসের পুনর্নির্মাণ’ শীর্ষক সেমিনার
  • About Al Jazeera
  • অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান : জন্মদিনের শুভেচ্ছা

Subscribe Us

আমাদের অনুষ্ঠান সম্পর্কে জানতে হলে সাবস্ক্রাইব করে রাখুন।
Copyright ©2018 PCFBD. All Rights Reserved
SearchPostsLoginCart
শনিবার, ২৪, সেপ্টে
।।বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরাম আয়োজিত ‘‘শেখ হাসিনার বৈশ্বিক ভাবমূর্তি : প্রসঙ্গ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন’’ শীর্ষক সেমিনার এবং ‘‘কলাম লেখার রীতি-নীতি, কৌশল শিখন ও অনুশীলন’’ শীর্ষক ওয়ার্কশপ ।।
রবিবার, ১৫, মে
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে সেমিনার
রবিবার, ১৫, মে
‘শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন : ইতিহাসের পুনর্নির্মাণ’ শীর্ষক সেমিনার
বুধবার, ১০, ফেব্রু
About Al Jazeera
মঙ্গলবার, ৫, জানু
অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান : জন্মদিনের শুভেচ্ছা
শনিবার, ১৯, অক্টো
মধ্য পঞ্চাশে শেখ রাসেল ও বাঙালির অধিকার

Welcome back,