সম্প্রীতির দেশ বাংলাদেশ
প্রিয়া সাহার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দেয়া অভিযোগ নিয়ে গত ২১ জুলাই আয়োজিত প্রেস কনফারেন্সের বক্তব্য শুনে বোঝা গেল তারা ব্রতী হয়েছেন ধর্মীয় উসকানির বিরুদ্ধে, তারা মিলিত হয়েছেন বিভেদের বিরুদ্ধে। জনৈক প্রিয়া সাহার কথাগুলো যে একটি রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ভঙ্গের জন্য আপত্তিকর ও ষড়যন্ত্রের অংশ তা তারা স্পষ্ট করেছেন। এ কথা ঠিক যে, গত ১০ বছর যাবৎ শেখ হাসিনা সরকারের নানামুখী পদক্ষেপ এবং হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে ভারতের উদ্বেগ ও আওয়ামী লীগের দলীয় উদ্যোগে সমস্যা মোকাবেলায় তৎপরতা লক্ষ করা গেছে। এ সময় নিরীহ জনগোষ্ঠীর মনোবল ফিরিয়ে আনতে প্রশাসনিক গতি এবং নিবিড় পর্যবেক্ষণও ছিল। আরো সত্য যে, স্থানীয় পর্যায়ে হিন্দু-খ্রিস্টান-বৌদ্ধ জনগোষ্ঠীর সদস্যদের প্রতি সাম্প্রদায়িক ও বৈরী আচরণ এখন নেই বললেই চলে। কিংবা সাম্প্রদায়িক আচরণের অভিযোগ পেলে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করার দৃষ্টান্ত অনেক।
দুই.
৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নভেম্বর (২০১৮) মাসেই সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দিয়েছিল ‘নির্বাচন কমিশন’ (ইসি)। নির্দেশনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিবকে বলা হয়েছিল, নির্বাচনী এলাকায় অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা ও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা বিধান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন পরিকল্পনা এবং অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ন্ত্রণ ও নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড প্রস্তুতকরণ নিশ্চিত করতে হবে। তখন নির্বাচন নিয়ে নানাবিধ শঙ্কার কথা শোনা যাচ্ছিল। কারণ বিএনপির সঙ্গে জামায়াত থেকে আসা ২৫ জন প্রার্থী জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িক শক্তির অন্যতম ধারক-বাহক। উপরন্তু সেখানে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীরাও নির্বাচন করেছিল। অন্যদিকে মুখে প্রগতির কথা বলে শেষ পর্যন্ত সাম্প্রদায়িক শক্তির সঙ্গে আঁতাত করেছিল বেশ কিছু অজনপ্রিয় দলের নেতারা। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য যারা সাম্প্রদায়িক শক্তির সঙ্গে আঁতাত করেন, তাদের চিহ্নিত করে বর্জন করার আহ্বানও উত্থাপিত হয়েছিল। বিশেষত যারা ঐক্যফ্রন্ট করে নিবন্ধন বাতিলকৃত দলের সঙ্গে গোপনে ঐক্য করেছিলেন, আসন দিয়েছেন তাদের মুখে নির্বাচনে জয়ী হলে সংখ্যালঘুদের জন্য পৃথক মন্ত্রণালয় করার আশ্বাস হাস্যকর হয়ে উঠেছিল। নির্বাচনে সাম্প্রদায়িক ব্যক্তি ও সাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক দলের প্রচারণা এ দেশের হিন্দু-খ্রিস্টান ও বৌদ্ধ জনগোষ্ঠীর জন্য ছিল হুমকিস্বরূপ।
উল্লেখ্য, ২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ও পরে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী শক্তি সমগ্র বাংলাদেশে নারকীয় তাণ্ডব চালিয়েছিল। এদের দ্বারা সংঘটিত হত্যা, ধর্ষণ, সম্পত্তি থেকে উচ্ছেদ, সম্পদ লুণ্ঠন, জোরপূর্বক চাঁদা আদায়, শারীরিক নির্যাতন ও অগ্নিসংযোগের মতো অসংখ্য ঘটনা এখনো আমাদের মনে আতঙ্ক জাগায়। বিশেষ করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায় এদের নির্মম, পাশবিক, হিং¯্র ও জান্তব আক্রোশের শিকার হন। অবশ্য ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ জয়ী হলে সেই পরিস্থিতি পাল্টে যায়। শেখ হাসিনার সরকার বিএনপি-জামায়াতের ওপর প্রতিশোধ না নিয়ে সহনশীল আচরণ প্রদর্শন করে এবং জননেত্রী বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের সংযত হতে নির্দেশ দেন। ফলে প্রতিহিংসাপরায়ণতার রাজনীতির অবসান ঘটে। নির্বাচন-পূর্ব এবং পরবর্তী সাম্প্রদায়িক ও রাজনৈতিক সহিংসতার উৎস হলো ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুর মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড এবং ১৯৭২ সালের সংবিধান থেকে বাঙালি জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা- এই চার মূলনীতির অপসারণ। বিশেষত ধর্মনিরপেক্ষতার পরিবর্তে পাকিস্তানি রাষ্ট্রের আদলে ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত এ দেশের সংখ্যালঘুদের মৌলিক অধিকার হরণ করা হয়। ধর্ম-বর্ণ-নৃগোষ্ঠীর পারস্পরিক সহাবস্থান এবং অসাম্প্রদায়িক ইতিহাসের ধারাবাহিকতায় ঘটে অনিবার্য বিচ্যুতি। ১৯৫৬ সালের মার্চে গৃহীত পাকিস্তানের প্রথম সংবিধানে এ দেশ ইসলামী নীতি ও আদর্শের ভিত্তিতে পরিচালিত হবে মর্মে উল্লেখ থাকায় এবং তা সংবিধানের মৌলিক চরিত্র হওয়ায় হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ও বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী অর্থাৎ সংখ্যালঘু সম্প্রদায় একই দেশের সমঅধিকারবঞ্চিত নাগরিক হিসেবে গণ্য হয়েছিল। খুনি মোশতাক, জিয়া, এরশাদ ও খালেদা জিয়া ওই পাকিস্তানি সংবিধানের অনুসরণে সাম্প্রদায়িক বিভাজন সৃষ্টি করে। যা বর্তমান সময়েও লালন-পালন ও অনুসরণ করে চলেছে স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত-বিএনপি। মনে রাখতে হবে, অন্য দেশের সাম্প্রদায়িক ঘটনার সুযোগ গ্রহণ করে অতীতে কুচক্রী মহল বিচ্ছিন্নভাবে সাম্প্রদায়িক সংঘাত ঘটিয়েছে এ দেশের মাটিতে।
অবশ্য ২০০৮-এর নির্বাচনের আগে-পরের চেয়ে ২০১৪ সালের নির্বাচনের পরিস্থিতি ভিন্ন ছিল। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে যে সহিংসতা শুরু হয়েছিল তার ভয়ঙ্কর রূপটি শেষ হয় নির্বাচনোত্তর হিন্দু-খ্রিস্টান-বৌদ্ধ জনগোষ্ঠীর ওপর নির্মম আঘাতের মধ্য দিয়ে। সে সময় গ্রামের পর গ্রামের অমুসলিম জনগোষ্ঠী আক্রান্ত হয়েছেন। বীভৎস অত্যাচার আর লুটপাটের শিকার হন সাধারণ সহজ-সরল নারী-পুরুষ। আহত ও নিহতের সংখ্যা দিয়ে সেই নিপীড়ন বিবেচনা না করে বরং ধর্মীয় সংখ্যালঘুর অস্তিত্ব সংকটের বাস্তবতা পর্যালোচনা করা দরকার। কারণ আমরা কথায় কথায় বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করে থাকি। কিন্তু অত্যাচার থেকে মুক্ত করা সম্ভব হয় না সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীকে। এমনকি আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেও নির্মম সব ঘটনা ঘটেছে এ দেশে। যদিও তা ২০০১-এর নির্বাচনোত্তর বিএনপি-জামায়াতের ব্যাপক হত্যা ও সহিংসতার মতো ছিল না। অন্যদিকে ২০১২ সালে কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম জেলার বৌদ্ধ জনগোষ্ঠীর ওপর আক্রমণ ছিল সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এ দেশের ইতিহাসে জঘন্যতম ঘটনার উদাহরণ। বৌদ্ধ সম্প্রদায় যে এ দেশেরই ভূমিসন্তান; অনেক আগে থেকেই বসতি এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান করে আসছে এটা অপশক্তির ধারক-বাহকরা সে সময় ভুলে গিয়েছিল। কেবল হিন্দু বা বৌদ্ধ সম্প্রদায় নয় খ্রিস্টান সম্প্রদায়ও আজকের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে হুমকির সম্মুখীন। সাঁওতাল বা ঋষি পল্লীতে হামলা ঘটেছে একাধিকবার।
অর্থাৎ আওয়ামী লীগের শত চেষ্টা সত্ত্বেও বিএনপি-জামায়াতের সাম্প্রদায়িক সংঘাত সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করা যায়নি। এ জন্যই একাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে আমাদের ভয় ছিল। সংবাদপত্র সূত্রে জানা যায়, ২০০৭ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৭ সালের অক্টোবর মাস পর্যন্ত দেশে এক হাজার ৬৯৯টি মন্দির ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ৫০২ জন হত্যা এবং ৩৯২ জন ধর্ষণের শিকার হন। দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর জঘন্যতম হামলা হয়েছে। তার আগে ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারির ৯ ও ১০ তারিখে চট্টগ্রামের হাটহাজারির হিন্দু জনগোষ্ঠীর ওপর হামলা এবং অগ্নিসংযোগ আর সাতক্ষীরার মতো ঘটনা যেন রাজনৈতিক সংস্কৃতির অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০১৩ সালের ৩১ মার্চ থেকে ১ এপ্রিল সাতক্ষীরার অগ্নিসংযোগ ও তাণ্ডবের ঘটনায় ছিল জামায়াতের প্রত্যক্ষ ইন্ধন। স্থানীয় একটি পত্রিকায় উসকানিমূলক খবর প্রকাশের পর কালীগঞ্জের ঘরবাড়িতে যে আগুন জ্বলেছে, তাতে একইসঙ্গে পুড়েছে হিন্দু ও মুসলমানের পবিত্র গ্রন্থ ‘গীতা’ আর ‘কুরআন’। ধর্মীয় মৌলবাদীরা এখনো ওই ধরনের সুযোগের সন্ধানে রয়েছে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে।
অতীতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় মানুষ হত্যা ও নারী ধর্ষণ মুখ্য ঘটনা ছিল। কিন্তু কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলায় ২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর শনিবার রাতের পরিস্থিতি ও হামলার ধরন পর্যালোচনা করলে দেখা যায় হামলাকারীদের মূল লক্ষ্য দেশকে অস্থিতিশীল করে তোলা। দেশের সাধারণ মানুষের জীবনে অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটেছে; সামাজিক ও ধর্মীয় সম্প্রীতি বৃদ্ধি পেয়েছে। এসবই ধ্বংস করতে চায় মৌলবাদী জনগোষ্ঠী। অন্যদিকে যুদ্ধাপরাধীদের সাজার হাত থেকে রক্ষার জন্য স্বাধীনতার শত্রুরা অপপ্রচার এবং ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার অপচেষ্টায় মরিয়া হয়ে উঠেছিল। তবে ধর্মীয় ও সামাজিক সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে যারা সোচ্চার হয়েছেন; তাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন সব ধর্মের মানুষ। সত্যিই ‘ধর্মীয় বিষয়ে গুজব ছড়িয়ে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা’ আমাদের মতো অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রের জন্য উদ্বেগজনক ঘটনা।
তিন.
নির্বাচনী ইশতেহারের দিকে দৃষ্টি দিলে দেখা যায় আওয়ামী লীগ অঙ্গীকার করেছিল, সংবিধান অনুযায়ী সব নাগরিকের স্বাধীনভাবে ধর্ম পালনের অধিকার নিশ্চিত করা হবে। এ ছাড়া অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বাংলাদেশের সমাজ গড়ে তোলা এবং ‘ধর্ম যার যার উৎসব সবার’ এই নীতি সমুন্নত রাখা হবে। উপরন্তু বাঙালি সংস্কৃতির অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও বিকাশে আওয়ামী লীগ সরকারের অনুসৃত নীতি ও কর্মপরিকল্পনা অব্যাহত থাকবে। বোঝা যাচ্ছে, এই দলটির ইশতেহার সংবিধানের কয়েকটি ধারাকে অবলম্বন করেছে। কারণ বাংলাদেশের সংবিধানের দ্বিতীয় ও তৃতীয় ভাগে মানবাধিকার রক্ষা করার অঙ্গীকার নিশ্চিত করা হয়েছে। ১২ অনুচ্ছেদে ধর্মনিরপেক্ষতা প্রসঙ্গে সাম্প্রদায়িকতা রোধ ও কোনো বিশেষ ধর্ম পালনকারী ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর প্রতি বৈষম্য বা নিপীড়ন রোধ করার বিষয় রয়েছে। সংবিধানের এই বিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন (ইসি) সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, ভয়ভীতিমুক্ত নির্বাচন পরিচালনার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা গ্রহণ করে। সব মানুষের, সব সম্প্রদায়ের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার জন্য ‘ইসি’কে অমুসলিম জনগোষ্ঠীকে নিরাপত্তা দিতে হয়। সেই প্রচেষ্টার সঙ্গে সঙ্গে সচেতন জনগোষ্ঠী মনে রেখেছিল, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ বাংলাদেশ। কেবল রাজনৈতিক কারণে বিএনপি-জামায়াত জোট আমলে জঙ্গি রাষ্ট্র বলা হয়েছিল একে। যারা ধর্ম সম্পর্কে কম জানেন তারাই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করে। নিজেদের স্বার্থেই আমাদের সবাইকে সম্প্রীতি রক্ষায় কাজ করতে হবে। সম্প্রীতি রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের বিকল্প নেই বলা হচ্ছে বারবার। এ ক্ষেত্রে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির বিজয় জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছিল। সে সময় সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ভোটের মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ হয়েছিল দল-মত নির্বিশেষ মানুষের দ্বারা; আর এভাবেই বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্যে জাতি-ধর্ম-বর্ণ সম্মিলিতভাবে বেঁচে থাকার প্রয়াস সফল ও সার্থক হয়ে উঠছে বারবার।
লেখকঃ ড. মিল্টন বিশ্বাস, অধ্যাপক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।
লেখার মূল লিঙ্কঃ দৈনিক ভোরের কাগজ